১। বইটি ছোট হলেও তথ্যসমৃদ্ধ। বইয়ের শেষে মুহাম্মদ বিন কাসিম ও হাজ্জাজ বিন ইউসুফের কিছু পত্র দেয়া আছে। এসব পত্র সে সময়কার প্রেক্ষাপট ও ঘটনাবলী বুঝতে সাহায্য করবে।
২। পত্রের অংশ বাদ দিলে বাকি অংশে ইসহাক ভাট্টি সাহেবের নিজস্ব গবেষণা ও বিশ্লেষন নেই। এসব তিনি কাজি আতহার মোবারকপুরীর বিভিন্ন গ্রন্থ (আরব ও হিন্দ আহদে রেসালত মে, ইসলামি হিন্দ কি আযমতে রফতা) থেকে হুবহু তুলে দিয়েছেন। সুতরাং, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে ভাট্টি সাহেবের লেখার চাইতে সরাসরি মোবারকপুরীর লেখা পড়াই ভালো। সেখানে আরো বিস্তৃত ও বিশদ আলোচনা আছে।
৩। মোবারকপুরীর লেখা হুবহু উদ্ধৃত করার কারনে ভাট্টি সাহেব এক জায়গায় হোচট খেয়েছেন। তিনি উপমহাদেশে হাদিসচর্চা শিরোনামে একটি অনুচ্ছেদ (৩৭ পৃষ্ঠা) লিখেছেন। এই অনুচ্ছেদে তিনি লিখেছেন উপমহাদেশে হাদিসচর্চার সূচনা সাহাবায়ে কেরামের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল। যদিও তিনি এখানে কোনো উদ্ধৃতি দেননি, তবে তিনি এখানে মোবারকপুরীকেই অনুসরণ করেছেন। কাজি আতহার মোবারকপুরী তার রচিত ‘হিন্দুস্তান মে ইলমে হাদিস কি ইশাআত’ গ্রন্থে এই মত প্রকাশ করেন। তবে তার এই মত সঠিক নয়। শায়খ হাবিবুর রহমান আযমি তার লিখিত ‘মাকালাতে আবুল মাআসির’ এর তৃতীয় খন্ডে (২৩২ পৃষ্ঠা) বেশ শক্তভাবে এর বিরোধিতা করেছেন।
৪। সবমিলিয়ে বইটি উপকারী। তবে ব্যক্তি ও গ্রন্থের নামে প্রচুর ভুল আছে। যা কিঞ্চিত বিরক্তিকর।