খাওয়ারিজমের পূর্ব সীমান্তে অবস্থিত সমৃদ্ধ একটি শহরের নাম কোকন্দ। (১) সাইর নদীর তীরে অবস্থিত শহরটি বিখ্যাত ছিল এর নির্মল প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও উর্বর ভূমির জন্য। সুজলা-সুফলা এই শহরে বিস্তৃত ফলের বাগান ও ফসলি জমির মাঝে মাথা উঁচু করে ছিল মসজিদের মিনার। কিছুদূর পর পর গড়ে উঠেছিল গ্রাম। পাহাড়ের ঢালে বিছিয়ে থাকা সবুজ ঘাসের ডগা নড়ে উঠত দখিনা বাতাসে। উপত্যকায় চড়ে বেড়াত পশুদের পাল। সন্ধ্যায় সূর্যের আলোয় লাল হয়ে যেত সাইর নদীর পানি, তখন দিনের কাজ শেষে ক্লান্ত মানুষ ফিরত ঘরে।…
দূতহত্যার সংবাদ শুনে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলেন চেঙ্গিস খান। তার নিষ্ঠুর চেহারায় জমা হলো অশ্রুবিন্দু। হঠাৎ লাফিয়ে উঠলেন তিনি। খুলে ফেললেন মাথার ক্যাপ, একটানে ছিড়লেন জামার বুকের অংশ। ছুটলেন…
দিল্লি জ্বলছে। কুতুবুদ্দিন আইবেকের দিল্লি জ্বলছে। যে দিল্লিতে একদিন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল কুওয়াতুল ইসলাম মসজিদ, সেই দিল্লিতে আজ আগুন ও কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গেছে অশোকনগরের মসজিদ। পুড়ে গেছে মসজিদের সদর দরজা। মাটিতে পড়ে আছে ছিন্নভিন্ন মুসহাফ। কুতুব মিনারের শহরে আজ মসজিদের মিনারে উড়ছে হনুমানের পতাকা। দিল্লি জ্বলছে। দিল্লিকে লোকে সম্মান করে বলতো হজরত দিল্লি। আমির খসরু এই শহরকে বলতেন জান্নাতে আদন। ইসামি এই শহরের মাটিকে বলেছিলেন, কিবরিতে আহমার। হজরত দিল্লির উপর বারবার আঘাত এসেছে। তৈমুর লঙ ও নাদের শাহের আক্রমন, ইংরেজদের…
সদ্যপ্রয়াত হাল যামানার মিসরী আলিম শায়েখ মুহাম্মাদ ইমারাহ প্রতিকৃতির বিষয়ে বলেন, ’সাহাবায়ে কিরাম বিজিত দেশগুলোর উপাস্য নয়, এমন প্রতিকৃতিকে রেখে দিতেন। উমার (টাইপিং মিসটেক। আমর হবে) ইবনুল আস…
কয়েক বছর ধরে বাংলা ভাষায় ইতিহাসচর্চার একটা জাগরণ হয়েছে বলে ধরা যায়। এ সময় ইতিহাস বিষয়ে প্রচুর বইপত্র অনুবাদ হয়েছে, মৌলিক গ্রন্থ রচনা করা হয়েছে। সামনেও ইতিহাস নিয়ে বিস্তৃত কলেবরের বেশ কয়েকটি বই প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। ইতিহাস নিয়ে লিখিত বইপত্রের প্রতি মানুষের আগ্রহ ক্রমশ বাড়ছে বলেই মনে হচ্ছে। তবে পাঠের ক্ষেত্রে কিছুটা শূন্যতা দেখা যাচ্ছে। এই শূন্যতা হলো গুরুত্বের বিচারে বিষয় নির্ধারণের শূন্যতা। কোন বিষয়টি আগে জানা প্রয়োজন, কোন বিষয়টি বেশি জানা প্রয়োজন, জানার ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা কী হবে এগুলো ঠিক…
পূর্বকথন ইতিহাস-পাঠের ক্ষেত্রে একজন সচেতন পাঠকের প্রথম আগ্রহ থাকে এমন কোনো বইয়ের প্রতি যেখানে এক মলাটে ইসলামের পুরো ইতিহাস পাওয়া যাবে। এর মূল কারণ হলো, মাসাদির বা মূল…
হাজার বছর আগে… মুসলিম পর্যটক ও ভূগোলবিদরা তখন ঘুরে বেড়াচ্ছেন মুসলিম বিশ্বের আনাচে কানাচে। তাদের লেখায় তারা তুলে ধরেছিলেন সেসময়কার মুসলিমদের জীবনযাত্রা ও শহরগুলির বিবরণ। আবু মুহাম্মদ আল হাসান হামদানি, আবুল কাসিম ইবনু হাওকাল, আবুল কাসিম উবাইদুল্লাহ ইবনু খোরদাদবেহ, মুহাম্মদ ইবনু আহমাদ শামসুদ্দিন আল মাকদিসি প্রমুখের লেখায় আমরা পাই সে সময়কার এক নিখুঁত বিবরণ। তারা লিখেছেন, মুসলমানরা তাদের শহরগুলিতে প্রচুর উদ্যান ও নহর নির্মাণ করত। শহরের মাঝ দিয়ে বয়ে যেত এসব নহর (লেক)। পাশেই থাকতো মনোরম উদ্যান। বিকেল কিংবা অবসরে…