ইতিহাস আসলে মুদ্রার মতো। যার দুটি পিঠ রয়েছে। একদিক থেকে অন্যদিকটা সরাসরি দেখা যায় না। ইতিহাসের পাঠক মাত্রই জানেন, ইতিহাসের এক পিঠে আলো থাকলে অন্যদিকে থাকে অন্ধকার। এক প্রান্তে সত্য ও সাম্য থাকলে অপর প্রান্তে থাকে মিথ্যা ও অন্যায়। এক পক্ষে নায়ক থাকলে প্রতিপক্ষে থাকে খলনায়ক। ইসলামের ইতিহাসও এর ব্যতিক্রম নয়।
পৃথিবীর বিভিন্ন জাতি, গোষ্ঠি, ধর্ম, বর্ণ ও মতবাদের উত্থান ও পতনের সাথে জড়িয়ে আছে সময়ের শ্রেষ্ঠ নায়ক ও নিকৃষ্ট খলনায়কদের উপাখ্যান। একজন মুসলমান হিসেবে, মুসলিম পাঠক হিসেবে, ইসলামী ইতিহাসের অনুসন্ধিৎসু পাঠক হিসেবে আমরা আমাদের নায়কদের জানি। চিনি। তাদের শৌর্যবীর্য, বীরত্ব, দুঃসাহসিকতা, ত্যাগ-তিতিক্ষা ও নিবেদনের ইতিহাস আমাদের কমবেশি জানা আছে। পড়া আছে। কিন্তু আমরা কি আমাদের ইতিহাসের খলনায়কদের জানি? ইতিহাসের মোড় পাল্টে দেয়া, মুসলিম সভ্যতার আকাশে কালো মেঘ ডেকে আনা ক’জন খলনায়কের সাথে আমাদের পরিচয় আছে? জানাশোনা আছে?
শত্রু না চিনলে আর শত্রুতার রূপরেখা না ধরতে পারলে বিপদ আছে। যুগে যুগে এ ধরনের উদাসীনতার চরম মূল্য দিয়েছে মুসলিম জাতি। হারাতে হয়েছে ঈমান। বেহাত হয়েছে হাজরে আসওয়াদ। রক্তাক্ত হয়েছে বাগদাদ। নিষ্পেষিত হয়েছে মিসরের বিস্তীর্ণ জনপদ। কারা ছিল সেসব অপকর্মের খলনায়ক? উত্তর জানতে পড়তে হবে ‘ইতিহাসের খলনায়ক’।
বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় ইসলামী ইতিহাসপ্রেমী ‘ইমরান রাইহানের’ জাদুকরী কলমের ছোঁয়ায় বহুবার মুগ্ধ হয়েছে পাঠকমহল। ‘ইতিহাসের খলনায়ক’ তাতে যোগ করবে ভিন্নরকম এক মাত্রা। ইনশাআল্লাহ।